Breaking jobs

Tuesday, 2 July 2024

গুগল সার্চ কনসোল কি? - sikhoit

গুগল ওয়েবমাস্টার টুল বা সার্চ কনসোল ওয়েবসাইট মালিকদের জন্য গুগলের পক্ষ থেকে সেরা উপহার। এই টুল ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ করা যায়। ওয়েবসাইট গুগলে সাবমিট সহ ওয়েবসাইট পারফরম্যান্স চেক করার জন্য এই টুল এর জুড়ি নাই।

গুগল সার্চ কনসোল কি?

আপনি কি গুগোল সার্চ কনসোল সেটাপ করতে পারেন? খুব দ্রুত পোস্ট গুগল সার্চে ইন্ডেক্স করাতে চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ  কারণ, এই লিখাটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানবেন কিভাবে আপনার ওয়েবসাইট গুগল সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শন করাবেন। কিভাবে একটি ওয়েবসাইট গুগল সার্চ কনসলে সাবমিট করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হবে এখানে

গুগল সার্চ কনসোল কি?

Google Search Console এমন একটি টুল যা ব্যবহার করে ওয়েব সাইট মালিকগণ তাদের ওয়েব সাইটের সাইটম্যাপ গুগোল ডেটাবেজে সাবমিট বা সংরক্ষণ করে। গুগল সার্চ কনসোল এর বেশ কিছু কাজ রয়েছে। নিচে গুগল ওয়েবমাস্টার টুল ব্যবহার করে কি কি করতে পারবেন তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা উপস্থাপন করা হলো।

  • সাইটম্যাপ আপলোড
  • ওয়েবসাইট এর পারফর্মেন্স পর্যবেক্ষণ
  • কিওয়ার্ড আইডিয়া
  • ওয়েবসাইট ভিজিটরের লোকেশন সংক্রান্ত তথ্য
  • বিভিন্ন ওয়েবসাইটের লিংকিং তথ্য

এছাড়াও গুগল ওয়েবমাস্টার টুল এর আরো বেশ কিছু কাজ রয়েছে। এখানে আমরা শুধুমাত্র প্রধান গুলো তুলে ধরেছি। এবার আমরা প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব

সাইটম্যাপ (Sitemap) আপলোড

এই টুল ব্যবহার করে আপনি আপনার ওয়েব সাইটে যতগুলো লিংক রয়েছে তা একবারে গুগলের কাছে সাবমিট করতে পারবেন। সাইটম্যাপ বলতে আমরা একটি ওয়েবসাইটের প্রতিটা লিঙ্ক এর তথ্যকে বুঝি। গুগল সার্চ রেজাল্টে যে ওয়েবসাইট প্রদর্শনের পূর্বশর্ত হলো ওয়েব সাইটের সাইটম্যাপ গুগল সার্চ কনসোলে সাবমিট করা।

কিভাবে বাংলা কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন?

সাইট ম্যাপ আপলোডের পূর্বে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটটিতে গুগল সার্চ কনসোল অ্যাড করতে হবে। আপনি 2 টি উপায়ে ওয়েবসাইট সার্চ কনসলে যুক্ত করতে পারবেন।

আমরা ইউআরএল প্রিফিক্স (URL Prefix) হতে ওয়েবসাইট সার্চ কনসলে এড করা শিখাবো। এজন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।প্রথমে আপনার ওয়েব সাইটের লিংকটি প্রবেশ করাতে হবে।

এরপর ভেরিফিকেশন এ ক্লিক করতে হবে।

আপনাকে তিনটি উপায়ে ভেরিফিকেশন এর অপশন দেওয়া হবে। সেখান থেকে এইচটিএমএল ট্যাগ (HTML Tag) বেছে নেন।

পরবর্তীতে সেখানে প্রদত্ত HTML কোডটি কপি করে আপনার ওয়েবসাইটের থিমের হেডারে (Theme Header) যুক্ত করতে হবে।

এরপর ভেরিফাই বাটনে ক্লিক করলে ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হয়ে যাবে।

ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণ

সার্চ কনসোল আপনার সাইট এর পারফর্মেন্স পর্যবেক্ষণ করে। কোন কিওয়ার্ডে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটর পাচ্ছেন তার বিস্তারিত তথ্য পাবেন এখানে।

এছাড়াও আপনার ওয়েবসাইট কতবার গুগল সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শিত হয়েছে এবং কতবার আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক এ ক্লিক করা হয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য এখানে পাবেন। এবং আপনার ওয়েবসাইটে কোন কোন দেশ হতে ভিজিটর আসে এবং সেসব দেশে আপনার ওয়েবসাইটের র্যাংকিং পসিশন কত তা জানতে পারবেন এখান থেকে।

কিওয়ার্ড আইডিয়া (Keywords Idea)

নতুন নতুন কিওয়ার্ড আইডিয়া পাওয়ার জন্য এই টুলস এর কোন বিকল্প নাই। আমরা যখন ওয়েবসাইটে কোন পোস্ট করে তখন অনেক কিওয়ার্ডে তা রেঙ্ক করে। এমন অনেক কিওয়ার্ড রয়েছে যার অনেক সার্চ ভোলিয়াম কিন্তু আমরা ধরতে পারিনা।

গুগল সার্চ কনসোল হতে আমরা কোন কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিয়াম সম্পর্কে তথ্য জানতে পারি। এবং সেখান থেকেই নতুন কিওয়ার্ড আইডিয়া চলে আসে। এছাড়াও আপনি এখান থেকে কিওয়ার্ড আইডিয়া নিয়ে তা আপনার পোস্টে যুক্ত করার মাধ্যমে অনেকগুণ ভিজিটর বৃদ্ধি করতে পারেন।

ওয়েবসাইট ভিজিটরের লোকেশন সংক্রান্ত তথ্য

ওয়েব সাইটে বিভিন্ন দেশ থেকে ভিজিটর আসে। একেক দেশে আপনার ওয়েবসাইট একেক পজিশনে অবস্থান করে। সেখান থেকে আপনি জেনে নিতে পারেন আপনার ওয়েবসাইট কোন দেশে কোন পজিশনে রয়েছে।

এবং এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে আপনার আর্টিকেল আরও উন্নত করার মাধ্যমে খুব সহজেই ভালো পজিশনে অবস্থান করতে পারেন। এগুলো আপনার ওয়েবসাইটে রেভেনিউ জেনারেট করতে খুব বেশি সাহায্য করবে।

ওয়েবসাইটের লিংকিং তথ্য

আপনার ওয়েব সাইটের লেখা সুন্দর হলে মানুষ সেগুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে শেয়ার করবে। এ ধরনের শেয়ার ওয়েবসাইটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্লাস পয়েন্ট। কারণ যার ওয়েবসাইটের লেখা যত বেশি ওয়েবসাইটে শেয়ার করা হবে তার ওয়েবসাইট ততবেশি গুণসম্পন্ন বলে ধরে নেওয়া হয়।

এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রেংকিং ফ্যাক্টর। এ ধরনের লিংকিং কে ব্যাকলিংক(Backlink) বলা হয়। আপনি ম্যানুয়ালি(Manually) ব্যাকলিংক করতে পারবেন। এবং কতগুলো ওয়েব সাইটে আপনার লিংকিং রয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য এখান হতে পাওয়া যাবে।

আমাদের তথ্যপূর্ণ আর্টিকেল আপনার কেমন লেগেছে তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। ইন্টারনেট হতে ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় ও কৌশল জানতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে উপকৃত হলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। মনোযোগ সহকারে আমাদের লেখা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

প্রচলিত ধারণায় খাদ্য পানি সহ বাসস্থান ও বস্ত্রকে তাৎক্ষণিক "মৌলিক চাহিদা" বলে ধরা হয়ে থাকে। আধুনিক কালের অনেক ধারণায় কেবল খাদ্য, পানি, বস্ত্র ও বাসস্থানই নয়, পয়ঃনিষ্কাশন, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবাকেও ন্যূনতম স্তরের 'মৌলিক চাহিদা' হিসেবে ব্যবহারের উপর জোর দেয়।

No comments:

Post a Comment